মেয়ের যকৃতে বাঁচল বাবা
৬৫ বছরের এক ব্যক্তি। কিছুদিন ধরেই তার পেট ব্যথা হতো, ঠিকমতো কিছু খেতেও পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল কঠিন লিভারের রোগে আক্রান্ত তিনি। সুস্থ হওয়ার উপায় একটিই। করতে হবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট। কিন্তু কে দেবে তাকে লিভার?
অবশেষে বাবার জন্য এগিয়ে এলেন একমাত্র মেয়ে রাখী দত্ত। জানালেন, বাবার জন্য নিজের লিভারের অংশবিশেষ দান করতে প্রস্তুত তিনি। অবশেষে মাত্র ১৯ বছর বয়সী মেয়ের সাহসী পদক্ষেপেই নতুন করে জীবন পেলেন বাবা।
জানা যায় বাবার এমন কঠিন রোগের কথা শুনে প্রথমে ভেঙে পড়েছিলেন রাখী। তারপর মাথা ঠান্ডা করে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে ভাবলেন। ভেবে দেখলেন তার জীবনে বাবার প্রয়োজন রয়েছে। বাবাকে অনেকে ভালোবাসেন রাখী। এরপর আর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও বাবার জীবন বাঁচাতে নিজের লিভারের ৬৫ ভাগ দান করতে রাজি হয়ে যান এক কথায়।
এরপর জটিল এক অস্ত্রোপচারের আয়োজন করা হয়। হায়দরাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাখীর বাবাকে। জটিল এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে কলকাতা থেকে দুজন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ উপস্থিত হন সেখানে। অবশেষে সফলভাবে শেষ হয় অপারেশন।
পেট অপারেশনের গভীর চিহ্নসহ বাবা-মেয়ের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। বাবার জন্য ১৯ বছর বয়সী তরুণীর দুর্দান্ত সাহস আর ভালোবাসার প্রশংসা করছেন সবাই। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, এ থেকে বোঝা যায় কন্যা সন্তান ফেলনা নয়।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।