ঘর পরিচ্ছন্নতায় যত ভুল
নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা একেবারেই স্বাভাবিক কার্যকলাপের মাঝে পড়ে।
ঘরের বিভিন্ন স্থান সহ সকল আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার জন্য তো বটেই, সুস্থ থাকার জন্যেও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন সকল কিছু।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে না জেনেই পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে ফেলি আমরা। ফলে পরিষ্কার হবার বদলে আরো বেশি অপরিষ্কার হয়ে যায় স্থানগুলো। জেনে নিন কোন ভুল এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
ময়লাযুক্ত স্থানে সরাসরি ক্লিনার স্প্রে করা
এই ভুলটা প্রায় সকলেই করে থাকেন। কাঁচ কিংবা অন্য কোন স্থান পরিষ্কার করার সময় ক্লিনার সরাসরি ঐ স্থানের উপরেই স্প্রে করেন। এরপর কোন কাপড়ের সাহায্যে ময়লা পরিষ্কারের চেষ্টা করেন। অথচ ময়লাযুক্ত স্থানে ক্লিনার স্প্রে করার ফলে ময়লা ভিজে স্টিকি হয়ে যায়। ফলে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয় না। নিয়ম হলো ক্লিনার স্প্রে করতে হবে পরিষ্কার কাপড়ে, যেটা দিয়ে ময়লাযুক্ত স্থান পরিষ্কার করা হবে। এরপর ক্লিনারযুক্ত কাপড়ের সাহায্য পরিষ্কার করলে খুব সহজেই ময়লা ভালোমতো উঠে আসবে।
প্রথমেই মেঝে ঝাড়ু দেওয়া
কোন ঘর পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রথমেই ঝাড়ু দেওয়ার কথা মাথায় আসে। ফলে সেটাই আগে করা হয়। ঘর ভালোভাবে ঝাড়ু দেবার পর ঘরের নানান ধরণের আসবাবপত্রের ধুলা ঝাড়া হয়। যেটা একেবারেই ভুল। প্রথমেই ঘরের সকল আসবাবপত্র ও সিলিং থেকে ভালোভাবে ধুলা ঝেড়ে নিতে হবে। এরপর ঘর ঝাড়ু দিতে হবে।
ফেদার ডাস্টার ব্যবহার করা
ফেদার ডাস্টার ব্যবহার করার পেছনে কারণ হলো- অনেকেই ভাবেন পালকে ময়লা ও ধুলা আটকে যায়। যা একেবারেই ভ্রান্ত একটি ধারণা। ফেদার বরং উল্টো কাজ করে। ধুলা ও ময়লা ছড়িয়ে দেয়। ফলে একটি আসবাব পরিষ্কার করতে গিয়ে কয়েকটি আসবাব ময়লা হয়ে যায়। তাই ফেদার ডাস্টারের পরিবর্তে পরিষ্কার কাপড় হালকা ভিজিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
একই কাপড় বারংবার ব্যবহার করা
ঘরের বিভিন্ন স্থান ও আসবাবপত্র পরিষ্কার করার সময় একই কাপড় ব্যবহার করা হয়। যা একেবারেই অনুচিত। এতে করে ড্রেসিং টেবিলের ময়লা টিভি ও টিভি স্ট্যান্ডে ছড়াচ্ছে কিংবা ডায়নিং টেবিলের ময়লা ছড়াচ্ছে পড়ার টেবিলে। এই কারণে কাপড় ব্যবহারের পরিবর্তে পেপার টাওয়েল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
সিংক ভালোভাবে পরিষ্কার না করা
প্রতিদিন ও প্রতিবেলায় থালাবাসন ধোয়া হচ্ছে যেখানে, সেই স্থানটি কতটা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত? খেয়াল করলে দেখা যাবে অনেকেই সিংক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখার প্রতি মনযোগী নন। অথচ এই স্থানটি থেকেই জীবাণু ও ভাইরাস ছড়াতে পারে অনেক বেশি। তাই প্রতি বেলায় সিংক একবার ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।