হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে খেতে পারেন মটরশুটি
শীতকাল মানেই নানা সবজির সমাহার। বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিমের পাশাপাশি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মটরশুটিও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে ২ টুকরা মাছ বা মাংসের বদলে খেতে পারেন এক বাটি মটরশুটি। কারণ এটি একদিকে যেমন পুষ্টি গুণে ভরপুর তেমনি এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি এবং ফ্যাট আছে। এতে কোনো কোলেস্টেরলও নেই। এটা সিদ্ধ, কাঁচা, কিংবা যেকোন রান্নার সঙ্গেও ব্যবহার করা যায়।
মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ১০ টি মটরশুটি বা ৩৪ গ্রাম পরিমাণ মটরশুটিতে ভিটামিন সি পাওয়া যাবে ২০ দশমিক ৪ গ্রাম। দিনের চাহিদার প্রায় ২৩ শতাংশ ভিটামিন সি এই পরিমাণ মটরশুটির মাধ্যমে পূরণ হয়। আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে দারুন কার্যকরী। শীতকালে সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত মটরশুটি খেতে পারেন।
মটরশুটিতে ক্যালরির পরিমাণ অল্প কিন্তু এটি অন্যান্য পুষ্টি গুণে ভরপুর। এক কাপ পরিমাণ মটরশুটিতে ১০০ এর কম ক্যালরি থাকে কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন , ফাইবার পাওয়া যায়। এ কারণে এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় মটরশুটি আর্থাইটিস রোগের জন্য উপকারী।
মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে, কোষ্টকাঠিন্য সারায়। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
এক কাপ পরিমাণ মটরশুটিতে ৪৪ শতাংশ ভিটামিন কে থাকে যা হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে।
মটরশুটিতে থাকা নায়াসিন উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এটি বেশ কার্যকরী।
এছাড়া চুল পড়া আটকাতে, চোখের দৃষ্টি টানটান রাখতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে মটরশুটি খুব উপকারী।