স্বামীর বয়সের প্রভাব পরে গর্ভের শিশুর ওপর
বাবার বয়স বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর। এ ক্ষেত্রে জন্মের সময় ওই নবজাতক কম স্বাস্থ্যবান হতে পারে। এ সময় মা ও শিশু দুজনেরই বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন গবেষণা করে এমন তথ্য জানান।
গবেষণার জন্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০ কোটি পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৯০৫ জন শিশু জন্মগত তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণে, সন্তান জন্মের পর মা ও শিশুর স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর বাবার বয়স কতটা প্রভাব ফেলে তা বিবেচনায় আনা হয়। দেখা গেছে, বেশি বয়সী বাবার শিশু নির্ধারিত সময়ের যথেষ্ট আগে জন্ম নিয়েছে, ওজন কম হয়েছে এবং প্রসবের পর যথেষ্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন হয়েছে যেমন ভেন্টিলেশন সহায়তা, ইন্টেনসিভ কেয়ারে ভর্তি, অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান ইত্যাদি।
বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫ বছর কিংবা তারও বেশি বয়সী বাবাদের অপরিণত শিশু জন্মের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে শতকরা ১৪ ভাগ। এসব বাচ্চার ওজনও কম ( ২৫০০ গ্রামের নিচে) ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বাবা বাচ্চার তুলনায়।
এ ছাড়া, ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী বাবার নবজাতককে ইনটেনসিভ কেয়ারে নেওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি ১৪ শতাংশ এবং সিজারের ঝুঁকি থাকে ১৮ শতাংশ।
গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফল হচ্ছে, দেখা গেছে যে নারী পেটে ৫৫ বছর বয়সী স্বামীর সন্তান ধারণ করেছেন তাঁর ডায়াবেটিস বা রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি হওয়ার ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ।