সাবধান! হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর!
হঠাৎ করেই জ্বর আসতে পারে আপনার কিংবা আপনার সন্তানের। বর্তমানে এই জ্বর খুব সাধারণ শারীরিক সমস্যা বলা চলে। তবে তা থেকেই হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর। সাধারণত এডিস মশার কামড়ে এ রোগ হয়।
বৃষ্টিপাত, বাতাসে অত্যাধিক আর্দ্রতা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক। ফুলের টব বা ফুলদানিতে জমা পানি, গাড়ির চাকার টায়ার, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যাদি ইত্যাদি জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ-
জ্বর ছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে মাথাব্যথা, চোখের কোঠরে, দেহের মাংসপেশি ও শিরায় ব্যথা, বিভিন্ন স্থানে লাল দানার ন্যায় র্যাশ ওঠা ইত্যাদি ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ। এ জ্বর সাধারণত ২-৫ দিন স্থায়ী হয়। জ্বর সেরে যাওয়ার ২-৩ দিনে রোগীর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ সময়কে ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ বলা হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা-
এ জ্বর হলে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বরের জন্য এ সময় দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি বেশি বেশি পানি ও পানীয় রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়।
জ্বর সেরে যাওয়ার পর ৩ দিন রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটাক্রিট করিয়ে ডাক্তারকে দেখাতে হবে। এ সময় রোগীর রক্তক্ষরণ, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে এবং জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে কখনোই এসপিরিন ও ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।
প্রতিরোধের উপায়-
দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার বা রিপিলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে যে কোথাও পানি জমতে না পারে। ঘরের ভেতরের পরিবেশ রাখতে হবে গোছানো ও পরিষ্কার।