সঞ্চয়ী হতে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি
যা আয় করছেন তার সবই খরচ হয়ে যাচ্ছে নানান ধরণের কেনাকাটায়।
মাসের শেষে হাতে থাকছে না একটি টাকাও। এমনটা হবার একমাত্র কারণ হলো- বেহিসেবি খরচ করা, সঞ্চয় না করা। সঞ্চয়ী না হবার ফলে শুধু প্রতি মাসের শেষে নয়, বিপদে পড়তে হতে পারে যে কোন সময়েই।
সঞ্চয়ী হতে প্রয়োজন ছোটখাটো কিছু পরিকল্পনা ও নিজের ইচ্ছাশক্তি। তবেই খুব সহজে নিজেকে সঞ্চয়ী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইচ্ছা ও প্রয়োজনের মাঝে পার্থক্য করা
দোকানে কিংবা অনলাইন সাইটগুলোতে ঘোরাঘুরির ফলে অনেক কিছুই কিনতে ইচ্ছা করে। হাতে টাকা বা কার্ড থাকলেই যে পছন্দের জিনিসগুলো কিনে ফেলতে হবে এমনটা নয়। কোন জিনিসটি প্রয়োজন ও কোন জিনিসটি নিতান্তই পছন্দ, সেটা বুঝতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসটি কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই, তবে অপ্রয়োজনীয় কিন্তু পছন্দসই জিনিস কেনা থেকে নিজেকে নিবৃত রাখতে হবে যথাসম্ভব। নইলে সঞ্চয় করা সম্ভব হবে না একেবারেই।
বাজেট তৈরি করা
আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা ধরে রাখার চেষ্টা করা হলেও, খরচ যেন কোন বাধা মানতেই চায় না। সেক্ষেত্রে একদম মাসের শুরুতেই একটি নির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করে নিতে হবে। কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে, এবং বাড়তি খরচ হিসেবে কত টাকা ধরা হবে- সব কিছুই থাকবে সেই বাজেটের ভেতর। অবশ্যই এই বাজেটে বিভিন্ন ভাড়া ও বিলের সঙ্গে একেবারে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও প্রাধান্য পাবে।
কার্ড নয় ক্যাশ
ওয়ালেট কম ভারি রাখা কিংবা নিজেকে স্মার্ট করে তোলার জন্য কার্ডের ব্যবহার উপযোগী হলেও, টাকা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে কার্ডের ব্যবহার ঠিক সমানুপাতিক হারেই ক্ষতিকর। কার্ড ব্যবহারে বিলের টাকার অংকটি দেখা হলেও নিজ হাতে টাকা খরচ করা হয় না বলে বোঝা যায় না ঠিক কত টাকা অহেতুক খরচ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরাসরি টাকার লেনদেনে বিষয়টি মনের ওপর প্রভাব ফেলে এবং বোঝা যায় কত টাকা খরচ হচ্ছে।
খুচরা টাকার বিষয়েও নজর রাখা
কেনাকাটার সময় যে সকল ভাংতি টাকা পাওয়া হয় সেগুলো গুছিয়ে রাখা হয় কি? দুই টাকা থেকে শুরু করে দশ-বিশ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন খুচরা নোটগুলো যদি গুছিয়ে রাখা হয় তবে মাসের শেষে দেখা যাবে বেশ বড়সড় অংকের টাকা হয়ে গিয়েছে। সামান্য এই বিষয়ের প্রতি খেয়াল করলেও সঞ্চয়ের হিসাবটা মেলাতে সুবিধা হবে।
কোন কিছু কেনার আগে ‘ডিল’ দেখা
একটু অদ্ভুত শোনালেও এই অভ্যাসটি সঞ্চয় তৈরিতে অনেকটাই প্রভাব ফেলে। ধরুন সামান্য টুথপেস্ট কেনার ক্ষেত্রে আপনি বড়জোর কোম্পানির বিষয়টি লক্ষ করবেন, কিন্তু তার ওজন ও পরিমাণের বিষয়টি কি দেখবেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর হবে- না। কিন্তু সামান্য এই বিষয়টিও কেনাকাটা, খরচ ও সঞ্চয়ের উপরে প্রভাব ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন অফারে দারুণ জিনিস পাওয়া যায় অথবা দুইটি জিনিস একসাথে পাওয়া যায় তুলনামূলক কম দামে। এই বিষয়গুলোর দিকেও নজর রাখতে হবে।
ছোট থেকেই শুরু করা
সঞ্চয়ের জন্য একেবারে বড় অংকের টাকা দিয়েই সঞ্চয় শুরু করতে হবে এমন কোন কথা নেই। পঞ্চাশ কি একশত টাকা দিয়েই সঞ্চয়ের শুরুটা করা যায়। একবার যদি শুরুটা করা যায় তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সেটা ঠিকই একটি সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে যাবে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।