শিক্ষামন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৬ গুণ
সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে হেভিওয়েট প্রাথীের্দর একজন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সিলেট-৬ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নিবাির্চত হন তিনি। এবারো একাদশ সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রাথীর্ হয়েছেন। সে সুবাদে নিবার্চন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় দিয়েছেন নিজের সম্পদের বিবরণ।
হফলনামার তথ্য অনুসারে শিক্ষামন্ত্রীর সম্পদ হয়েছে ছয়গুণ। নবম জাতীয় সংসদ নিবার্চনের হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪২ লাখ ১৬ হাজার ৪২২ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে হলফনামায় শিক্ষামন্ত্রীর নিজের ও স্ত্রীর, নিভর্রশীলদের নামে আয়, নগদ অথর্, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৪ টাকা। এক দশকে শিক্ষামন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৬২ টাকার।
এক দশক আগে কৃষি, আথির্ক বিনিয়োগ, মাছ চাষ ও লেখালেখি করে বাষির্ক আয় ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ টাকা।
বতর্মানে শিক্ষামন্ত্রীর বাষির্ক আয় ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২০৫ টাকা। কৃষি, আথির্ক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও পেশা থেকে এই আয় দেখিয়েছেন তিনি।
এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৪ টাকা। ব্যাংকেও দায়-দেনা নেই শিক্ষামন্ত্রীর।
হলফনামা থেকে জানা গেছে, একাদশ সংসদ নিবার্চনে বাষির্ক আয় ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২০৫ টাকার মধ্যে কৃষি থেকে আয় ৫০ হাজার, ব্যাংক আমানত (সুদ বাবদ) আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ২০৫ টাকা, পেশা থেকে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৫ টাকা, স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা। আথির্ক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৮৩ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩০ টাকা।
শেয়ার/সঞ্চয়পত্রে নিজের বিনিয়োগ ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকা। যানবাহনের মূল্য ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩২১ টাকা। স্বণার্লঙ্কার নিজের ৭৫ হাজার টাকার হলেও স্ত্রীর স্বণার্লঙ্কারের পরিমাণ-মূল্য জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।
ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিজের নামে ২ লাখ ২৫ হাজার ও স্ত্রীর ১ লাখ টাকা। আসবাবপত্র নিজের ৪৫ হাজার ও স্ত্রীর ১ লাখ ৬০ হাজার।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৩১ শতক কৃষি জমি ও ২ লাখ টাকার ৫৬ শতক ও ৪০ লাখ টাকা মূল্যের অ্যাপাটের্মন্ট। নিজ নামে ৫ কাঠা জমির ওপর অ্যাপাটের্মন্ট রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৮ হাজার ৪৪০ টাকা। তবে মামলা ও দায়-দেনা নেই।
২০০৮ সালে ৯ম সংসদ নিবার্চনের হলফনামায় শিক্ষামন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৪৭ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৬২ হাজার ৯৫৮ টাকা, নিভর্রশীলদের নামে ২৫০০ টাকা ছিল। আথির্ক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৬ টাকা, নিভর্রশীলদের নামে ২৫ হাজার টাকা। আথির্ক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৪১২ এবং নিভর্রশীলদের নামে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকা।
দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে দেয়া হলফনামায় শিক্ষামন্ত্রীর বাষির্ক আয় ছিল ১৭ লাখ ৭২ হাজার। পেশা থেকে ১৭ লাখ ২২ হাজার ৩০০, কৃষিখাতে ৫০ হাজার। নগদ আড়াই লাখ, ব্যাংকে ৫৫ লাখ ১৪ হাজার ২৫৯ টাকা। গাড়ির মূল্য দেখানো হয় ৩২ লাখ ৯১ হাজার ২৯১। স্বণর্ ২০ ভরি। যার মূল্য ৩ লাখ টাকা। ইলেকট্রিক ও আসবাবপত্র ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আথির্ক প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৩টাকা। সঞ্চয়পত্রে আমানত ৪৫ লাখ টাকা।
স্থারব সম্পদ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩১ শতক কৃষি ও যৌথ মালিকানায় থাকা শিক্ষা মন্ত্রীর নিজের নামে ২৮ শতক অকৃষি জমির মূল্য ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। দালান নিজ নামে যৌথ মালিকানায় নিজের অংশ ২০ লাখ টাকা ও প্রবাসী স্বজনের কাছে দেনা ১০ লাখ টাকা।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।