লেবু কী অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ায়?
আমাদের অনেকের একটি ভুল ধারণা আছে তা হলো টকজাতীয় ফল খেলে আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। কিন্তু এই ধারণা ভুল। টক জাতীয় ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না।
আসল বিষয় হল সিট্রাস বা টক ফল অ্যাসিডিক প্রকৃতির হলেও পাকস্থলীতে পৌঁছালে লালার সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে এলকালাইন বা ক্ষারীয় হয়ে যায়। তাই এই ধরনের ফলগুলো অ্যাসিডিটি বা অম্লতার উপর হস্তক্ষেপ করে না।
অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমায় আসলে টক ফল খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমায়।
আসুন জেনে নেই লেবু কীভাবে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমায়।
খাবারের রুচি বাড়ায়
খাবারের রুচি বাড়াতে লেবুর জুড়ি নেই। যাদের মুখে রুচি কম খাবার খেতে পারেন না তাদের জন্য লেবু খুবই কার্যকর।
আলসার ও অ্যাসিডিটির সমস্যা
যাদের পেপটিক আলসার অথবা অ্যাসিডিটি রয়েছে, তারা খাবার সময় লেবু এড়িয়ে চলেন। তাদের ধারণা লেবু খেলে আলসার ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। এই ভুল ধারণা নিয়ে যারা বসে আছেন তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে লেবু খেলে পেটে অ্যাসিডিটি হয় না, উল্টো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
অ্যাসিডিটি কমায় ও বদহজম দূর করে
লেবুতে আছে সিট্রিক অ্যাসিড। যা পাকস্থলীর সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সাইট্রেইট, পটাশিয়াম সাইট্রেইট ইত্যাদি যৌগ তৈরি করে। পাকস্থলী থেকে ক্ষরিত হয় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। যার পরিমাণ বেশি হলে বুক-জ্বালা, গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।
এ ক্ষেত্রে ক্ষারধর্মী সোডিয়াম সাইট্রেইট যৌগটি বাড়তি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তা প্রতিরোধ করে। ফলে বদহজম হয় না।
তাই সুস্থ থাকতে টকজাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।