আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতোমধ্যেই বড় সংকটে পরেছে বাংলাদেশ। প্রায় সাত লাখের ও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এদের মিয়ানমারে ফেরতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এই সংকটের মধ্যে নতুন করে আরও শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না বলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়টি জানান পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদকে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।’
শহিদুল হক বলেন, মিয়ানমার শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা সামনে হাজির করে পিছিয়ে দিচ্ছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ কোনো আশ্রয় তৈরি হয়নি বলে সেখানে এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ যে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি।’
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছামূলক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তার ওপর জোর দেন। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানার বার্জনার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকার সীমিত।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা এখন পর্যন্ত এই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এই সংকটটি কীভাবে সমধান করা যায় তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমার মিত্র রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে।
এদিকে চীনের উপজাতিসংঘ দূত উ হাইতাও বলেন, এটি মূলত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। তাদেরই এটি সমাধান করতে দেয়া উচিত। তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলানিস্কো।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের দাবি- গত জানুয়ারি থেকেই তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। তবে রোহিঙ্গারা জানান, নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না পেলে সেখানে যাবেন না তারা। জাতিসংঘেরও পর্যবেক্ষণ- মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।