রূপচর্চায় আমলকীর গুরুত্ব
আমলকী আমরা কাঁচা ও শুকনা দুভাবেই ব্যবহার করতে পারি। বাজারে এখন প্রচুর পরিমাণে আমলকী পাওয়া যাচ্ছে। তবে এর ব্যবহার জানা থাকলে ঘরে বসে খুব সহজেই আমলকী দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
* কাঁচা আমলকীর ১ কাপ রস বের করে নিয়ে এর সঙ্গে ১টা বড় পেঁয়াজের রস এবং ১ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে জ্বাল করে নেই। এরপর ঠাণ্ডা হলে একটি বোতলে রেখে দেই। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে সঙ্গে চুলের মসৃণতা বজায় থাকবে।
* শুকনা আমলকী ১ কাপ, ১ কাপ শিকাকাই সারারাত একটি লোহার পাত্রে ভিজিয়ে রাখি। পরের দিন ভালো করে জ্বাল দিয়ে রস ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নেই। এ রসটা বিলি কেটে সারা চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যাবে।
* চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমলকী খুবই উপকারী। কাঁচা আমলকী, নারকেল কুড়ানো, মেথি গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পুরো স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এতে করে চুল গজাতে সাহায্য করবে এবং চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি চুল নরম ও কোমল থাকবে। রুক্ষতা কমে যাবে এর ব্যবহারের ফলে।
* শুকনা আমলকী ১ কাপ ১ কাপ, মেথি, ১ কাপ মৌরি নিয়ে নারকেল দুধে ভিজিয়ে রাখি। এরপর ব্লেন্ড করে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
* আমলকী নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভিটামিন ‘সি’ থাকার কারণে শরীরের প্রয়োজনীয় ‘সি’-এর অভাব দূর হবে।
* ১ চা-চামচ আমলকী, ২টা বহেরা ও ২টা হরীতকী রাতে ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখি। সকালে ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যাদের অ্যাকনে বেশি হয় তারা যদি নিয়মিত খান তাহলে ব্রণ কমে যাবে। নিয়মিত সেবনে পেট পরিষ্কার থাকার কারণে ত্বকের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। চুলের খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে আমলকীর গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না।