মাশরাফির ‘শেষ’ ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের
Mehidy, Soumya, Tamim give Bangladesh series win
ক্রিকেট পাড়া ও সমর্থকদের মধ্যে কিছুদিন থেকেই গুঞ্জন ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে দেখা যাবে না মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। যদিও অধিনায়ক নিজে সরাসরি কখনোই তেমন কিছু বলেননি তবুও মাঝে মাঝেই তার আভাস কিছুটা দিয়েছেন। সে হিসেব করলে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আগে শুক্রবারের (১৪ ডিসেম্বর) এই ম্যাচটিই বাংলাদেশে দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ। তাই আলোচনায়, সর্বত্র মাশয়ারফির ‘শেষ’ ম্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলা নেওয়া আর হলো না। এ বছরই বাংলাদেশ সফর করতে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক দলের দাপটে দুমরেমুচড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল সফরকারীরা। বাংলাদেশ সফরে এসে টেস্ট সিরিজেও একই দৃশ্য, স্বাগতিক দলের দাপট। টেস্টে বাংলাদেশের দাপটের পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজেও হেরে বসল উইন্ডিজরা। আজ সফরকারীদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১.৩ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার সিলেটে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য হাতের নাগালে থাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের নৈপুণ্যে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৮.৩ ওভারের খেলা শেষে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ২০২ রান।
জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৫ রানে আউট হন লিটন দাস। কিমো পলের বলে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ২২ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। এ দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি। জুটিতে ১৩১ রান যোগ হওয়ার পর সেই কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন তামিম। তামিম ১০৪ বল থেকে ৯টি চারের মারে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৬ রান নিয়ে।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে। একদিকে ওপেনার শাই হোপ লড়াই করে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে চলে আসা যাওয়ার পালা। সেই আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল হন ৮ ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে মারলন স্যামুয়েলসের ১৯ রানই সেরা সংগ্রহ।
হোপ ৯টি চার ও একটি ছক্কার মারে ১৩১ বলে ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এর আগে ঢাকাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাতেও সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের ম্যাচ জেতান হোপ। অপরদিকে দেবেন্দ্র বিষু অপরাজিত থাকেন ৬ রান করে। মিরাজ মাত্র ২৯ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট নেন। এটি ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া সাকিব ও মাশরাফি দুটি করে উইকেট নেন। আর বাকি এক উইকেট নেন সাইফ উদ্দিন।
টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সিরিজ সেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপ। অপরদিকে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। খেলাধুলা বিষয়ে যেকোন তথ্য, প্রতিবেদন, প্রশিক্ষণ, টিপস, আপনার প্রতিষ্ঠানের খেলা সংক্রান্ত অলোচনা নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।