মন্ত্রীদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক ছিল গতকাল সোমবার। এ কারণে মন্ত্রিসভা থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত সবার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বর্তমান সরকারের আমলে আর মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে না। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে একথা বলে বিদায় নেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক আজ (গতকাল)। এরপর মন্ত্রিসভার আর কোনো বৈঠক হবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন নির্বাচনি কাজে। আর দেখা হবে না। আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দেবে অর্থাৎ জনগণ কাকে ভোট দেবে এটা তারাই জানেন। ‘পরবর্তীতে নতুন সংসদ হবে, নতুন কেবিনেট হবে, সেখানে কারা আসবে সেটা তো এখনই বলা যায় না, সবাই ভালো থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা বাতিল হলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের শক্তি ও মেধাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের অবহেলা না করে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা বাতিল করে দিলেও সরকার প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সব সুবিধাই যেন প্রতিবন্ধীরা পায়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমরা বিশেষ কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধীকে বর্তমানে ভাতা দেয়া হচ্ছে। শিগগিরই মোবাইলফোনের মাধ্যমে তাদের এই ভাতা পৌঁছে দেয়ার সহজ ব্যবস্থা করা হবে। মোবাইলভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে প্রতিবন্ধী বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবন্ধীদের যারা দেখাশোনা করেন, প্রশিক্ষিত করেন- সেসব শিক্ষক, অভিভাবক যেন আরও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ পেয়ে প্রতিবন্ধীদের উপযোগী করে তুলতে পারে, সেদিকেও সরকার বিশেষ কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিবন্ধীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না। আমরা যেন তাদের অবহেলা না করি, মানুষ হিসেবে তাদের যে অধিকার তা যেন দিতে পারি। সে লক্ষ্যে প্রতিবন্ধীদের উপযোগী করে স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো শ্রেণির মানুষ অবহেলিত থাকবে না। অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের ভেতর যে শক্তি আছে, যে মেধা আছে-তা যেন ব্যবহার করতে পারি। এ সময় উদাহরণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণ অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল, কয়েক দিন পরপরই আন্দোলন হতো। তাই কোটা বাতিল করে দিলেও প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।