মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় যেভাবে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ রোববার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিসিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসক ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন, যারা এ বিষয়টির দায়িত্বে থাকেন।
জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্যানেল যাচাই করেন মনোনয়নপত্রে যে তথ্যগুলো চাওয়া হয়েছে, প্রার্থীরা সেগুলো দিয়েছে কিনা।
প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, প্রস্তাবকের নাম, সমর্থকের নাম, প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর, তিনি হলফনামা যথাযথভাবে পূরণ করেছেন কিনা, প্রার্থীর নামে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কিনা।
এ ছাড়া প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সংযুক্ত করতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে।
প্রার্থিতা কেন বাতিল হয় এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে বা প্রার্থী যদি কোনো তথ্য গোপন করেন, তা হলে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
এ ছাড়া প্রার্থী অভিযুক্ত আসামি বা ঋণখেলাপি হলেও তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
এমনকি প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্রে ভুলবশত স্বাক্ষরও না দেন, তা হলেও তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।