বাংলাবান্ধা হয়ে সিকিম যেতে পারবে বাংলাদেশি পর্যটকরা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার বাংলাদেশের পর্যটকরা বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতের সিকিম যেতে পারবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর বাংলাদেশের পর্যটকরা সিকিম আসতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ৮ জনের একটি পর্যটক দল সিকিমে গিয়েছে। অনেকদিন ধরেই এ দেশের পর্যটকদের সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি উঠছিল। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবি মেনে নেয়।
জানিয়ে দেওয়া হয় এ দেশের নাগরিকদের সিকিমে যেতে আর বাধা থাকছে না।
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য এখানে আসার সহজ পথ পঞ্চগড় তেতুলিয়া হয়ে বাংলাবান্ধা- ইন্ডিয়ার ফুলবাড়ি শিলিগুড়ি।
এ দিকে শিলিগুড়ি থেকে রংপো হয়ে তারা সিকিমে যান। ৮ জন বাংলাদেশি পর্যটকের একটি দল আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিকিমে থাকবেন।
বাংলাদেশের দলের এক সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান আওয়ার-বাংলাকে বলেন, ‘বহুদিনের ইচ্ছে ছিল। আমরা আগে সিকিমে যেতে পারতাম না। এবার ভারত সরকার অনুমতি দিয়েছে। তাই আমরা সিকিম সফরে এসেছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা ও সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করব। ভারত সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
শুধু সিকিম নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য খুলে গেল ভারতবর্ষের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট কাশ্মীর, লাদাখ, অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার এই অঞ্চলগুলোতে পর্যটকদের ঢোকার অনুমতি দিল ভারত।
নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে দার্জিলিংয়ের পার্শ্ববর্তী মেঘ-পাহাড় বরফের সিকিমের গ্যাংটক, লাদাখসহ কয়েকটি রাজ্যে ঢুকতে কড়াকড়ি ছিল বাংলাদেশিদের জন্য।
অনুমতির জন্য আবেদন করলেও কয়েক মাসেও তা মিলত না। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে যাদের এরই মধ্যে ভিসা রয়েছে তারা চাইলে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে একটি ফরম পূরণ করে অনুমতির আবেদন করতে পারবেন। আর যারা নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন তারাও এর জন্য আলাদা একটি ফরম চেয়ে নিয়ে পূরণ করে ভিসা আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে পারবেন। এ দিকে ভারতে ঢুকে সিকিমের এন্ট্রি পয়েন্ট তথা পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের বর্ডার রংপোতে একটি ফর্ম পূরণ করলেই হবে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।