প্রচারে এগিয়ে আ’লীগ আর পিছিয়ে বিএনপি
নির্বাচনী প্রচার চলছে জোরেশোরে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পাড়া-মহল্লা, গ্রাম, হাটবাজার ছেয়ে গেছে পোস্টারে। রোজ দুপুরের পর কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী মিছিলে সরগরম হয়ে উঠছে বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকছেন গণসংযোগে। সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ, আড্ডায়-আলোচনায় একটাই প্রসঙ্গ- ভোট।
যদিও নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই দেশের কয়েকটি স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘাত-সংঘর্ষ হয়, যা কমবেশি অব্যাহত আছে। গতকালও বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা, নোয়াখালী, ভোলাসহ কয়েক জায়গায় বিএনপি প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ফরিদপুর সদরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। একই দিনে শেরপুরে হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন যুবলীগ নেতা। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে এক ধরনের ভীতিও রয়েছে নেতাকর্মীদের মনে। সাধারণ মানুষও কিছুটা হলেও উদ্বেগ বোধ করছেন। তারা আশা করছেন এসব ঘটনা যাতে মাত্রা ছাড়িয়ে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশকে কলুষিত করতে না পারে।
বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটের মাঠে প্রচার চালাতে গিয়ে শুরু থেকেই বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ করে আসছে। তবে এ অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নেতারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও (সিইসি) মনে করেন, প্রচারে আদতে কোনো বাধা নেই। সব প্রার্থীই সুযোগ পাচ্ছেন প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে। তবে এবারের নির্বাচনে উৎসবমুখর আমেজ নবম জাতীয় সংসদের তুলনায় দৃশ্যতই কম। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতো আগুন-সন্ত্রাসের বিভীষিকাও এবার নেই। ভোটারদের প্রত্যাশা- ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে প্রচার আরও জমজমাট হবে। তবে কমবেশি সংঘাতের আশঙ্কাও রয়েছে। ভোটারদের প্রত্যাশা- ৩০ ডিসেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশ থাকুক, যাতে সবাই নিরাপদে ভোট দিতে পারেন।
ঢাকায় সরেজমিনে এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ার বাংলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচারে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকারি দল ও পুলিশের বাধার কারণেই তারা প্রচারে পিছিয়ে আছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মতে, দেরিতে মাঠে নামার কারণে বিএনপি প্রচারে পিছিয়ে রয়েছে। তিনি মনে করেন, কিছু দিনের মধ্যেই সব সমান-সমান হয়ে যাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রচারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে, সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে।
পোস্টার, মিছিল, মাইকিং, গণসংযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পথসভাসহ সব ক্ষেত্রেই নৌকার প্রচার চোখে পড়ার মতো। আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের প্রত্যেকে ফেসবুক পেজ খুলে প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটারদের মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। পাড়ায় পাড়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংগঠনিক কার্যালয় গভীর রাত অবধি মুখর থাকছে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে।
প্রচারে তুলনামূলক পিছিয়ে আছে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট। তাদের প্রতীক ধানের শীষের পোস্টার গতকাল পর্যন্ত খুব কম স্থানেই চোখে পড়েছে। প্রচার মিছিল কিংবা মাইকিংও কম। বহু স্থানে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যালয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীর উপস্থিতি কম। কোথাও কোথাও এখনও তালা ঝুলতে দেখা গেছে। আবার অনেক স্থানেই বিএনপি নেতাকর্মীদের গণসংযোগে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে। যেমন ঢাকার কেরানীগঞ্জ, বগুড়ার বিভিন্ন আসনসহ বহু স্থানে গণসংযোগে বিএনপি নেতাকর্মীরাই এগিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে বিএনপিকে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না।
প্রচারে এগিয়ে থাকার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যেভাবে সাফল্য এসেছে, তার কারণে সারাদেশে এবারও নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন নৌকার প্রচার কার্যক্রমে। লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট গ্রুপের পর্যবেক্ষণেও বলা হয়েছে, জোয়ার নৌকার পক্ষে এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জয় পাবে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় একটি জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবার ১৬৮ থেকে ২২০টি আসন পাবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মনোনয়ন বাণিজ্য এবং ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অসন্তোষের কারণে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অধিকাংশ স্থানে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন না। এ ছাড়া ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় আগুন-সন্ত্রাসের নেতিবাচক রাজনীতির কারণেও বিএনপির জনসমর্থন কমে গেছে। মূলত এ দুটি কারণে নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে পড়েছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকার পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে নামতেই দিচ্ছে না। প্রচারণার প্রথম দিনেই ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা হয়। এখনও সারাদেশে নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। একাধিক প্রার্থীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন কারাগারে। বাসায় বাসায় গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা প্রচারে না নামতে পারে। প্রচার মিছিলে নামলেই সরকারি দলের ক্যাডাররা হামলা করছে। পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, মাইকিং করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো ছাপাখানায় গিয়ে ধানের শীষের পোস্টার না ছাপতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়াও হচ্ছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের দাবি, সরকারি দল হামলা-মামলায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে একতরফা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাদের বক্তব্য :আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আওয়ার-বাংলাকে বলেছেন, সব দলই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল অনেক আগে থেকেই মাঠে ছিল। তারা প্রার্থী ঠিক করে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই ছিল। পক্ষান্তরে, বিএনপি-জামায়াত দেরিতে এই প্রচারণা শুরু করেছে। এর কারণ যেটা মনে হয়, তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না- সেটা নিয়ে এক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। পরে তা কাটিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনে এসেছে এবং প্রচারণা শুরু করেছে। এ কারণেই মনে হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে আছে। নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসবে, ততই সব দলের প্রচার জমজমাট হয়ে উঠবে। তখন আর কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে- সেটি আলাদা করে মনে হবে না। সবাই থাকবে সমানে-সমান।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে বাধার অভিযোগ প্রসঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই অভিযোগ সব ক্ষেত্রে সত্য নয়। দু-একটি ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। বিএনপি দীর্ঘ ১০ বছর পর মাঠে নামায় তাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা হয়তো দেখা দিয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটাও ঠিক হয়ে যাবে। নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ গড়ে উঠবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যদি প্রচারে বাধা দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা কিংবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করছেন না কেন? তা না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আওয়ার-বাংলাকে বলেছেন, নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থক অত্যন্ত সংগঠিতভাবে মাঠে নেমেছেন। যে কারণে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল ও মহাজোটের প্রচারণা ব্যাপক ও বিশাল রূপ পেয়েছে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে দেশের জনগণও অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে স্বতঃস্ম্ফূর্ত সমর্থন জানিয়ে আসছে। তারা টানা দুই মেয়াদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এ কারণেই এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।
বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে বাধার অভিযোগ নাকচ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, টেলিভিশন ও মিডিয়ায় তো দেখা যাচ্ছে, তারা ভালোভাবেই প্রচার চালাচ্ছেন। নিয়মিতই তারা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। তাহলে কে তাদের বাধা দিচ্ছে?
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচনে ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পুরো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বক্তব্য :জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ার-বাংলাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে নিশ্চয় দেশবাসী একমত হবেন যে, আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো দলীয় সরকারের অধীনেই সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করলেও এখন ভোটের মাঠে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রচারে নির্বিচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও মাঠেই নামতে দিচ্ছে না পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা। নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বলে কিছুই তৈরি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রচারের প্রথম দিনই তার নিজের গাড়িবহরের ওপর হামলা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরেও হামলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারকালে সারাদেশে প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিদিনই সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাতের বেলায় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় তাদের গ্রেফতার করছে। আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা পথসভা ও গণসংযোগে হামলা চালিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দিচ্ছে। কোথাও পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। অথচ আওয়ামী লীগ, ১৪ দল ও মহাজোটের প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গ্রেফতার-হামলা-মামলার ভয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে, একতরফা নির্বাচনী প্রচার চালালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এগিয়ে থাকবেন- এটাই স্বাভাবিক।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ার-বাংলাকে বলেন, সারাদেশে তাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাদের প্রার্থীদের ছাপানো পোস্টার, ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও আছে। ছাপাখানা থেকে তাদের লাখ লাখ পোস্টার সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। একটি বিরূপ পরিবেশে তাদের নির্বাচনী যুদ্ধে থাকতে হচ্ছে। এজন্য স্বাভাবিক নির্বাচনে যেভাবে পোস্টার-ব্যানার দেখা যায় তা এবার হচ্ছে না। তবে ধানের শীষের প্রকৃত পোস্টার তাদের ভোটারদের হৃদয়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এখন পর্যন্ত সারাদেশে ধানের শীষের প্রায় দেড়শ’ প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। তিনশ’ আসনেই বিএনপি জোটের প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মাইক ভাংচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া দু’জন প্রার্থীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। অহেতুক আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর নির্বাচনের পথে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কিছুতেই এসব হামলা, সন্ত্রাসের দায় এড়াতে পারে না।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।