পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্কারোপ করল ভারত
কাশ্মিরের পুলওয়ামার অবন্তী পুরায় ভারতীয় জাওয়ানদের ওপর পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিদের করা হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি সব ধরনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পাঠানো বিবৃতি বরাতে করা প্রতিবেদনে এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মিরে এক আধাসামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের করা হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হন। মূলত এ ঘটনার পর পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভার্ড নেশনের তকমাও ইতোমধ্যে ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। আর এবার এক ধাপে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যবসা হয়। তবে যার মধ্যে ভারতের রপ্তানির পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।
ভারত তাদের সবজি-লোহা থেকে শুরু করে রাসায়নিক দ্রব্যসহ আরও নানা ধরনের পণ্য প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে রপ্তানি করে আসছে। যদিও পাকিস্তানও তাদের দেশ থেকে উৎপাদনকৃত বেশ কিছু পণ্য ভারতে রপ্তানি করে থাকে।
ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে জানা যায়, কাশ্মিরের সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে যে পাকিস্তান নানা দিক থেকে জড়িয়ে আছে, মূলত তা বোঝানোর জন্য ইতোমধ্যে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে দিল্লি। পরবর্তীতে সংগ্রহকৃত এসব তথ্য দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে উত্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মিরে এক আধাসামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের করা হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হন। হামলার সময় গাড়িটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) কমপক্ষে ৫৪ জন সদস্য ছিলেন।
নির্মম এ হামলার ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এত সংখ্যক সেনাসদস্যকে একসঙ্গে আকাশ পথে না পাঠিয়ে কেন এভাবে সড়ক পথে পাঠানো হল এবার তা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশটির রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।