নতুন করে শুরু করুন জীবন
একটা সময় এসে জীবন যেন থেমে যায়। রাজ্যের হতাশা এসে ভর করে মাথায়। সেসময় মনে হয় কিছুতেই জীবন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে একটু বিরতি দেওয়া উচিত। নিজেকে কিছুটা সময় দিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সেই শুরুটা করবেন কীভাবে?
হতাশাগ্রস্ত মানুষগুলো বুঝে উঠতে পারে না জীবনকে কী করে নতুন করে শুরু করবে। আপনিও তেমন একজন? ভাবছেন নিজের জীবনকে আরেকবার গুছিয়ে নেবেন। তবে এই ফিচারটি আপনার জন্যই-
কথায় বলে যেখানে পথের শেষ, সেখানেই কোনো না কোনো ভাবে পথের শুরু। নতুন করে জীবন শুরু করতে তাই জীবনের নতুন পথ খুঁজুন।
নিজের ব্যক্তিত্বকে মূল্যায়ন করুন :
প্রত্যেকটি মানুষেরই নিজস্ব মূল্য আছে, নিজের মূল্যায়ন করুন। আপনি নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চাইছেন মানে আপনি আপনার বর্তমান জীবন নিয়ে সুখী নন। আপনার বিশ্বাস, নীতি, বুদ্ধিমত্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সবকিছুকে জীবনের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করুন। নিজের ভালো দিকগুলোকে খুঁজে বের করুন। সেগুলোকে সঙ্গী করেই নতুন করে পথ চলুন।
নিজে কিছু প্রশ্ন করুন-
১। কোন বিষয়গুলো নিয়ে আমাকে উত্তেজিত ও রাগান্বিত করে দেয়?
২। কী কী বিষয়ের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আপনি?
৩। ধরুন আপনার বাড়িতে আগুন লেগেছে। বাড়ির সব মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কোন তিনটি জিনিস আপনি উদ্ধার করতে চাইবেন?
৪। আপনার সমাজ বা বিশ্বের কোন দিকটি পরিবর্তন করতে চান?
নিজের ব্যক্তিত্ব পর্যালোচনা করুন :
নতুন করে জীবন শুরু করার আগে ঘুরে আসুন কল্পনার জগত থেকে। নিজের পুরো সব কাজগুলোকে নিয়ে ভাবুন, এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে অনেকখানি। ছোটবেলায় আপনি কেমন ছিলেন, ১০ বছর, ১৫ বছর বয়সী আপনার জীবনই বা কেমন ছিল—সব নিয়ে ভাবুন।
কোন একটি জায়গায় কিছু সময় কাটান যেখানে কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। আগামী ১ থেকে ৫ বছরে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কী কী করতে চান তার প্ল্যান সাজিয়ে ফেলুন।
আপনার বর্তমান অবস্থান কী? ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন? কেমন জীবনযাপন করছেন? আশাপাশে কারা আছে? নিজেকে খুশি রাখতে কী করেন আপনি?- মনে মনে নিজের প্রতি প্রশ্নগুলো ছুঁড়ে দিন। একটি নোটবুকে উত্তরগুলো পিপিবদ্ধ করুন। নিজের জীবন যেভাবে সাজাতে চাইছেন তার জন্য কী কী করতে হবে তার তালিকা করুন। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করুন আগামী দিন থেকে।
প্রতিদিনের কাজের তালিকা করুন :
বেশিরভাগ মানুষই সারা বছর কী কী করবেন তার তালিকা করলেও দিনের কাজকে এড়িয়ে যান। অথচ জীবন কিন্তু দিন, সপ্তাহ, মাস তারপর বছর হিসবে চলে। প্রতিদিন কী করছেন তার হিসাব রাখুন। যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাচ্ছেন, সেই পথ ধরেই কি আগাচ্ছেন?
বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করুন :
আকাশকুসুম স্বপ্ন না দেখে বাস্তবসম্মত স্বপ্ন দেখুন। আপনি ভালোই জানেন আপনাকে দিয়ে কতদূর কী করা সম্ভব। নিজের সঙ্গে নিজে বাজি ধরবেন না। এতে করে আপনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না আর হতাশ হবেন।
সুন্দর আর গোছানো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করুন। বড় লক্ষ্যে একবারে না এগিয়ে ছোট ছোট ভাগ করে আগান। আজ কী করছেন, আগামীকাল কী করলে লক্ষ্যের পথে আগাতে পারবেন তা ঠিক করুন।
ধরুন আপনার লক্ষ্য হলো নিজের ব্যবসা নিজে পরিচালনা করা। এই লক্ষ্যে যদি আপনি রাতারাতি উদ্যোক্তা হতে চান, তবে ভুল করবেন। বরং আপনার লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন। বিজনেস আইডিয়া দাঁড় করান, মূলধন গোছান, একটি নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করুন। এই ধাপগুলো আপনাকে সাহায্য করবে লক্ষ্যে সহজে পৌঁছানোর জন্য।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।