চলুন ইতালি ঘুরে আসি
আমাদের অনেকের ধারণা যারা বেশি আয়ের মানুষ তারা সাধারণ ভ্রমণ করেন। তবে এটি সঠিক নয়।কারণ টাকা থাকলেও অনেকে ভ্রমণে যাবেন এমন নয়। যারা ভ্রমণ পিপাসু, তাদের কাছে ভ্রমণের আনন্দ সত্যি অন্যরকম।
তবে যদি ইউরোপে ঘুরতে যেতে চান তবে যেতে পারেন ইতালি।এত দেশ রেখে কেন ইতালি যাবেন।আসুন জেনে নেই যে কারণে ইতালি ঘুরতে যাবেন।
ডলোমাইট্স, ইতালির আল্প্স
দক্ষিণ-পূর্ব ইটালির এই চুনাপাথর পর্বতমালা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যে কোনো পর্যটককে মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। গোটা এলাকাটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে গ্রীষ্মে হাইকিং, সাইক্লিং অথবা বেস জাম্পিং, শীতকালে স্কি করা যায়।
পাহাড়ের কোলে হ্রদ
হ্রদের গা ঘেঁষে বাগান ঘেরা প্রাসাদ। ইংরেজ রোম্যান্টিক কবি শেলি কোমো হ্রদের ধারে এমনই একটি ‘ভিলা’ কিনেছিলেন। উত্তর ইতালির এই সব হ্রদ আর লাগোয়া জনপদে টুরিস্টদের না থেমে উপায় নেই।
শপিং করতে হলে যেতে হবে মিলান
ইতালিয় ফ্যাশন দেখতে চান তো মিলানের দ্বিতীয় ভিত্তোরিও এমানুয়েল মল-এ চলে আসুন। এই শপিং মলটি খোলা হয় ১৮৭৭ সালে! ভ্যালেন্তিনো, ভেরসাচে, প্রাদা ও আরমানি-র মতো বড় বড় লেবেলের হেডকোয়ার্টার্স এই মিলান শহরে।
পৃথিবীর আশ্চর্যতম শহর ভেনিস
রাস্তার বদলে খাল, দু’ধারে গথিক প্রাসাদ, খালের জলে ভাসছে গন্ডোলা – আর কার্নিভালের মরশুম হলে প্রাচীন সব সাজগোজ আর ভেনিসের সুবিখ্যাত মুখোশের ভিড়। সারা দুনিয়ার মানুষ ভেনিসে আসার স্বপ্ন দেখে। প্রতিবছর সে স্বপ্ন সফল করেন লক্ষ লক্ষ পর্যটক।
মিকেলাঞ্জেলোর শহর ফ্লোরেন্স
পিয়াৎসালে মিকোলাঞ্জেলো চত্বর থেকে আর্নো নদীর ধারে অবস্থিত গোটা শহরটিকে দেখা যায়। রেনেসাঁসের জন্মই যে শহরে, তার মধ্যমণি হলো ব্রুনেলেস্কির গম্বুজ দেওয়া ডুওমো গির্জা। এই শহরেই রয়েছে মিকেলাঞ্জেলোর ১৭ ফুট উঁচু শ্বেতপাথরের ডেভিড মূর্তি।
টাস্কানির আঙুরখেত
মধ্য ইটালির এই অঞ্চলে ‘কিয়ান্তি’-র মতো নানা নামকরা ওয়াইন তৈরি হয়। তবে এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য টাস্কানির নিজস্ব, সেই সঙ্গে রয়েছে সিয়েনা বা পিসার মতো বিশ্ববিখ্যাত শহরের টান। পিসার হেলানো টাওয়ারের কথা মনে আছে তো?
সব পথ যেখানে গিয়ে শেষ হয়
রোম আজও ইটালির রাজধানী। অপরদিকে পোপের বাসও এখানে, ভ্যাটিকানে (ছবিতে সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রাল)। পর্যটকরা রোমে আসেন দু’ হাজার বছর আগের রোমক সভ্যতার নিদর্শন দেখতে কলোসিয়াম, প্যান্থিওন, রোমান ফোরাম।
পিৎসা মার্গেরিটার জন্ম যেখানে
নেপলসের পিৎসা নির্মাতা রাফায়েলো এস্পোসিতো ১৮৮৯ সালের ১১ই জুন তারিখে এই পিৎসার রেসিপিটি সৃষ্টি করেন ইটালির রানি, মার্ঘেরিতা অফ স্যাভয়-এর সম্মানে। আজ সেই পিৎসা দুনিয়ার সর্বত্র এবং বিশেষ করে কচিকাঁচাদের ফেবারিট।
আমাল্ফি উপকূল
সাগরের ধার ঘেঁষে পাহাড়, মাঝেমধ্যে নেমে এসেছে একটি ঝর্না। কোন সুদূর অতীতে সেই পাহাড়ের গা আঁকড়ে গড়ে উঠেছে একটির পর একটি জেলেদের গ্রাম। আজ দেখলে মনে হবে যেন কোনো চিত্রকর সোজা পাহাড়ের গায়ে ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলেন।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।