কালো ব্যাজ পরে মাঠে ঐক্যফ্রন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কালো ব্যাজ ধারণ করে মাঠে নামবে সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে সরকার বিরোধী এই জোট। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সকল প্রার্থী ও নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত ভোটারদের নিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এসব কর্মসূচি সফল করতে সকল স্তরের নেতাকর্মী ও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর যে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিকাল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি আরও জানান, ২৪শে ফেব্রুয়ারি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি কোথায় হবে তা ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণসহ সারা পৃথিবী হতবাক হয়েছে।
আবদুস সালাম বলেন, এদেশে ভোটের নামে যে প্রহসন হয়েছে তাতে অন্তত একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা হল- জনগণসহ বিশ্ববাসী আর কেউ কখনো বলবে না আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হোক বা অন্য কোনো নির্বাচন হোক।
তিনি এ সময় উল্লেখ করে বলেন, অন্তত ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি কাউকেই বলবে না যে, আপনারা নির্বাচনে যান। সবাই দেখেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না।
৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি বলে উল্লেখ করে একাদশ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে ঐক্যফ্রন্ট বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
ঐক্যফ্রন্টের কাউকে কাউকে নিয়ে শপথ পাঠ করিয়ে জনগণ বা বিশ্ববাসীকে দেখানোর জন্য সরকার এখনো চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের ঐক্যফ্রন্টের কেউ কোনো শপথ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। আমরা রেজাল্ট প্রত্যাখ্যান করেছি। কাজেই শপথ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার দয়া-দক্ষিণায় ৬/৭ জনকে এমপি বানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রকৃত বিজয়ী নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি, এই নির্বাচনকে বাতিল করে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। যাতে জনগণের ভোট জনগণ দিতে পারে।
তিনি সবশেষে আহ্বান জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, রফিকুল ইসলাম পথিক, জেএসডির নেতা মমিনুল ইসলাম, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমদ বাদল, জনদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।