কাবুলের মন্ত্রণালয় ভবনে জঙ্গি হামলা
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তথ্য মন্ত্রণালয় ভবনে তালিবান বিদ্রোহীদের করা হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারী সহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। যাদের মধ্যে চার বেসামরিক এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
তাছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে আটজন। কাতারে আফগান সরকার এবং তালিবান মধ্যকার শান্তি আলোচনা স্থগিতের একদিনের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার (২০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে কাবুলের ব্যস্ততম মধ্যাঞ্চলে আচমকা এই হামলার ঘটনা ঘটে। এলাকাটিতে শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেরেনা হোটেল এবং আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ভবন ও প্রেসিডেন্টের বাসভবন রয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত সেরেনা হোটেলে এখনও বেশ কিছু বিদেশি পর্যটক আছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
কাবুল পুলিশের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘এ দিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তখন তিন হামলাকারীর একজন ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। মূলত এর পরেই তারা একে একে সেই ভবনের ভেতর গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। আর এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা ধারণা করছি, এবারের সশস্ত্র এই হামলাটি মূলত তালিবান জঙ্গিরাই করতে পারে।’
এদিকে তালিবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘আমাদের তালিবান সদস্যরা শনিবারের সেই হামলার জন্য দায়ী নয়।’ সম্প্রতি তালিবান ছাড়াও কাবুলের বেশ কিছু স্থানে বিভিন্ন হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা। তবে সেই গোষ্ঠীটি এখনও শনিবারের সেই হামলার দায় স্বীকার করে নেয়নি।
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কাতারের সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউমানিটারিয়ান স্টাডিসের পরিচালক সুলতান বারাকাত এক টুইট বার্তায় তালিবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে আফগান সরকার মধ্যকার আলোচনা স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করেন। কেননা এই সংস্থাটি মূলত এই দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করেছিল।
বারাকাত তার টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ‘আলোচনায় ঠিক কারা অংশ নেবেন আর কে তা থেকে বিরত থাকবেন; মূলত এ নিয়ে বিতর্কের জেরে সেই শান্তি আলোচনা স্থগিত করা হয়।’