মাস শেষে পকেট ফাঁকা
রাজধানীর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে সুমন, বেতনও পায় ভালো। কিন্তু মাস শেষে পকেট হয়ে যায় ফাঁকা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও তাই এড়িয়ে যায় আর্থিক সমস্যার কারণে। আয় যাই হোক, মাসের শেষে আর্থিক সমস্যায় পড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকেরই।
তবে কি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ আয় করছেন না? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলেন ভিন্ন কথা। আয় করা অর্থের পরিমাণ নয়, পরিকল্পনার ওপরই নির্ভর করে আমি আয় করা অর্থে পুরো মাস ঠিকমতো চলতে পারবেন কি না।
মাসের শেষের দিশাহারা অবস্থায় পড়েন অনেকে। ছোট কিছু কৌশল কাজে লাগালে কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই-
স্থির করুন লক্ষ্য-
মাসের শুরুতেই একটি লক্ষ্য তৈরি করে ফেলুন। নিজের অর্জিত টাকা নিজের ইচ্ছা মতো অবশ্যই খরচ করতে পারেন তবে পাশাপাশি একটি ‘ফিনান্সিয়াল গোল’ থাকা উচিত। এতে করে আর মাসের শেষে বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না।
তৈরি রাখুন ‘ইমার্জেন্সি ফান্ড’-
নিজের সঞ্চয় ও লগ্নির পাশাপাশি একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করে রাখুন। অর্থাৎ, বেতন পাওয়ার পর কিছু টাকা আলাদা করে রেখে দিন। হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে এই ফান্ড থেকে টাকা খরচ করতে পারবেন।
অবসরের কথা ভাবুন-
অনেকেই ভাবেন, এখন ইচ্ছামতো টাকা খরচ করি, পরের কথা পরে ভাবা যাবে। এই কাজটি না করে পরের কথা এখনই ভাবুন। একসময় চাকরি ছেড়ে দিলে কী করবেন তা নিয়ে সময় থাকতেই প্ল্যান সাজিয়ে নিন। সেই অনুযায়ী অর্থ সঞ্চয় করুন।
ঋণের হিসাব রাখুন-
কারও কাছ থেকে ঋণ নিলে তার হিসাব রাখুন। পরবর্তী মাসের বেতন হাতে পাওয়ার পর তা শোধ করার চেষ্টা করুন। হয়ত ঋণ জমে গেলে, পরে বেশি ঝামেলায় পড়বেন।
সাজিয়ে রাখুন আগাম পরিকল্পনা-
এই মাসে কী কী কাজে বাড়তি খরচ আছে, কার কার সঙ্গে দেখা করতে হবে, জরুরী কী কী কিনতে হবে- সব প্ল্যান সাজিয়ে ফেলুন মাসের শুরুতেই। বাইরে না খেয়ে ঘরেই আয়োজন করে ফেলুন। এতে টাকা কম খরচ হবে। সাপ্তাহিক আড্ডার জন্য ভুলেও ইমার্জেন্সি ফান্ড ব্যবহার করবেন না।
পুরো মাসে কোন কাজে কত অর্থ ব্যয় করতে হবে তা আগে থেকে প্ল্যান করে নিলে বাড়তি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর বাড়তি খরচ না হলে মাসের শেষে আর্থিক সমস্যাতেও পড়তে হয় না।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।